বইয়ের ভাস্কর্য
প্রতিক্ষণ ডেস্ক:
ভাস্কর্য বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ইট-বালি, সিমেন্ট কিংবা কাঠ আর লোহার বীমের তৈরী কোনো স্থাপনা। কিন্তু এ ধারণাটি পাল্টে দিয়েছেন যুক্তরাজ্য নিবাসী সু ব্ল্যাকওয়েল। অন্যান্য ভাস্করের মতো তিনিও ভাস্কর্য তৈরী করেন তবে তা উঠে আসে বইয়ের পাতায় ক্ষুদ্রাকৃতি হয়ে।
বইয়ের ওপর নিজের স্বপ্নরাজ্য গড়া তার শখের বিষয়। বইয়ের পাতাগুলোই নানা কৌশলে ভেঙেচুরে জুড়ে দিয়ে সেগুলোকে তাঁর খুদে জগতের নানা উপাদানে রূপ দেন। সেই উপাদানগুলোই মিলে এক একটি রূপকথা কিংবা লোককথার জগৎ হয়ে ওঠে। যখনই কোন বই পড়া শেষ হয়, তখনই সু ব্ল্যাকওয়েল মেতে উঠেন বইয়ের সাহিত্যকে ভাস্কর্যে রূপ দিতে। সাহিত্য তখন হয়ে ওঠে শিল্প। আর এই শিল্পের শিল্পী চেষ্টা করেন নিজ দেশের ইতিহাসসহ নান্দনিক বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরার।
সু ব্ল্যাকওয়েলের এই চেষ্টার মূল উপজীব্য বইয়ের সাহিত্য। এজন্য তিনি একটি বই না পড়েই, তা দিয়ে কখনো ভাস্কর্য বানান না।
নিজেকে একজন পেপার আর্টিস্ট বলে পরিচয় দিতেই ভালোবাসেন এই শিল্পী। বর্তমানে ডুয়েলিৎ নামের একটি বই ভাস্কর নিয়ে কাজ করছেন ভিন্নধর্মী এই ভাস্কর। ইংল্যান্ডের রূপকথার আলোকে তৈরী এই ভাস্কর্যে স্থান পেয়েছে কাঠের তৈরি গাছ, কুঁড়েঘর, বাতিঘর, সহ বেশ কিছু স্থাপনা।
প্রতিক্ষণ/এডি/এস.টি